প্রকাশিত: ১২/০৭/২০১৮ ৮:০৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৫১ এএম

ওবাইদুল হক চৌধুরী,উখিয়া নিউজ ডটকম::
বিশ্ব নেতাদের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও একদিকে মিয়ানমারের ছল-চাতুরি, অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের একের পর এক দাবি, এ দু’য়ের মাঝে পড়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো রকম আশার আলো দেখছেন না স্থানীয়রা। বরং সামাজিক বৈষম্যের কবলে পড়ে তারা ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন। আর মিয়ানমার এবং রোহিঙ্গাদের বিপরীত মেরুতে অবস্থানকে দু’পক্ষের গোপন আঁতাত হিসেবেই দেখছেন রোহিঙ্গা বিরোধী নেতারা।
গত নয় মাস ধরে একের পর এক বিশ্ব নেতারা এবং সংস্থার প্রধানরা টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো পরিদর্শন করছেন। সবশেষ আসলেন জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যান। কিন্তু তার কোনো কিছুতেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার বরফ গলছে না। বরং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে দাবির সংখ্যা বাড়িয়ে’ই চলেছে।রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, আমরা সম অধিকার, নাগরিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, শিক্ষার অধিকার এই গুলো আমরা চাই।আরেক জন বলেন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য নিরাপত্তার মাধ্যমে মিয়ানমার ফিরে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রথম থেকেই মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বিশ্বনেতাদের। কিন্তু এত কিছুর পরেও শুরু করা যায়নি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। তবে, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার নমনীয় হবে বলে আশাবাদী কক্সবাজারের বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম।তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিজেদের কর্মক্ষেত্রে গিয়ে এই বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার আশাবাদী হলেও স্থানীয়দের মধ্যে এনিয়ে কোনো আশার আলো নেই। বরং মিয়ানমার এবং রোহিঙ্গারা পুরো বিষয়টিকে প্রলম্বিত করে তুলছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গা বিরোধী নেতাদের। উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সরওয়ার আলম শাাহীন বলেন, এরা একটার পর একটা দাবি দিতে থাকবেই। যে গুলো বাংলাদেশসহ বিশ্ব নেতৃত্বের পূরণ করা সম্ভব নয়। মূলত তারা যেতে চাইবে না।
আশির দশক থেকেই বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়। এর মাঝে কিছু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা। যার সংখ্যা অন্তত ৮ লাখ।

পাঠকের মতামত

গদি নেই তবু সাবেক এমপি বদি!

আবদুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের টিকিটে। মাদক ...

মিয়ানমারে সশস্ত্র লড়াই: আরাকান আর্মির কাছে গুরুত্বহীন রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে নিজেদের জাতিসত্তার স্বীকৃতি আদায় এবং রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ...

কক্সবাজারে মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে এনজিওগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে লুকিয়ে ...

দলের নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছে না টেকনাফ মহিলা দলের দুই নেত্রী

আ.লীগ সরকারের অধীনে ধারাবাহিকভাবে সকল নির্বাচন বর্জন করে আসছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তারেই ধারাবাহিকতায় ...